Saturday, 29 March 2025

 

 

 

 

 

এক অলৌকিক ঘটনা
আমরা আমরাই গ্রাম নিবাসী চট্টোপাধ্যায় (বাবু) পরিবারের সকলেই সর্গীয় হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের বংশদ্ভূত । আমাদের পূর্বপুরুষ কখনো ত্রিসন্ধ্যা না করে দিন যাপন করতেন না । আজও আমরা সকলে ধার্মিক না হলেও ধর্মভীরু । এখনো নানান পুজো-আর্চার মধ্য দিয়েই আমাদের সকলের দিন অতিবাহিত হয় । আমাদের লক্ষী-জনার্দনের মন্দিরে নিত্য সেবার ব্যবস্থা আছে এবং প্রতিদিন সেখানে সন্ধ্যারতির সময় আনেকেই জমায়েত হন ।
গত সপ্তাহে এমনি এক সন্ধ্যায় আরতির পর সবাই যখন প্রায় বাড়ি চলে যান, তখন আমাদের পুরোহিত মশাই (বাসু’দা) দেখেন জনৈক এক ব্যক্তি প্রায় মুখ ঢেকে বসে আছে মন্দিরের এক কোণে। কাছাকাছি হতেই পুরোহিত মশাই’কে বলে “আমি আপনার জন্যই আপেক্ষা করছি”। পুরোহিত মশাই বলেন কেন?উত্তরে প্রায় কাঁদ-কাঁদ স্বরে বলে ওঠে “আমাকে ক্ষমা করবেন । আমার বাড়ি বোলপুরে ।আমরা জাতিতে মুসলমান ।অভাবের তাড়নায় আজ থেকে বেশ কয়েক মাস আগে আমার ভাই আপনাদের ঠাকুরের স্নান-জলের তাম্র পাত্র’টি চুরি করে নিয়ে যায় ।প্রথমে আমরা এত খেয়াল করিনি । কিন্তু বেশ কয়েকদিন পর থেকেই আসতে শুরু করে নানান বিপদ আমাদের পরিবারে । আমার ভাই’এর শারীরিক অবস্থার অব্নতি হতে থাকে দিনের পর দিন । আমিও আমার কাজের জায়গায় প্রায় মরতে মরতে বেঁচে যাই ”। এ’রকম ভাবে চলতে চলতে যখন অবস্থা একেবারেই খারাপ হতে থাকে তখন একদিন স্বপ্নে কে যেন নির্দেশ দেন আমার ভাই’কে, “আমার ঘটি (তাম্র পাত্র’টি) যেখান থেকে নিয়ে এসেছিস সেখানে রেখে আয়” । তাই আমি সেই ঘটি নিয়ে এসেছি ঠাকুর মশাই । “আপনি দয়া করে পাত্রটি নিন এবং ঠাকুরের কাছে আমাদের ক্ষমা প্রার্থনা করুন ।”
পরদিন বাসু’দা এবং সুভাষ সকলকেই এ ঘটনার বর্ননা করায় আমরা সকলেই স্তম্ভিত ।ব্যপারটা পুরোটাই বিশ্বাসের । তর্কের কোন স্থান নেই এখানে । আমি শুধু ফেস্-বুকের মাধ্যমে ঘটনাটি জানালাম বিশেষ করে আমার পরিবারের সকলকে এবং সকল বন্ধুদের

 

 

No comments:

Post a Comment