Saturday, 29 March 2025

 SAD DEMISE OF OURTBHAMLU DA.



না ফেরার দেশে চলে গেলেন আমাদের বর্ষিয়ান সেবাইত সৌরীন্দ্র মোহন চট্টোপাধ্যায় - আমাদের সবার প্রিয় ভমলু’দা; সোমবার বিকেল ৩টের সময় । রেখে গেলেন স্ত্রী, পুত্র, কন্যা এবং নাতি - নাতনীদের । বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি, তবে এত তাড়াতাড়ি যে চলে যাবেন তা আমরা ভাবতে পারিনি। সবই ভবিতব্য, মানুষের করার কিছুই নেই, মেনে নিতেই হবে । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বৎসর । ডিএসপি’র RAW MATERIALS DEPARTMENT ‘EXEC

Kanchan Kumar Chatterjee <chatterjee.kanchan@gmail.com>

12:08 PM (19 minutes ago)

না ফেরার দেশে চলে গেলেন আমাদের বর্ষিয়ান সেবাইত সৌরীন্দ্র মোহন চট্টোপাধ্যায় - আমাদের সবার প্রিয় ভমলু’দা; সোমবার বিকেল ৩টের সময় । রেখে গেলেন স্ত্রী, পুত্র, কন্যা এবং নাতি - নাতনীদের । বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি, তবে এত তাড়াতাড়ি যে চলে যাবেন তা আমরা ভাবতে পারিনি। সবই ভবিতব্য, মানুষের করার কিছুই নেই, মেনে নিতেই হবে । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বৎসর । ডিএসপি’র RAW MATERIALS DEPARTMENT ‘EXECUTIVE পদে নিযুক্ত ছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে অবসর গ্রহন করেন ।
বড় ভাল মানুষ ছিলেন তিনি । মিষ্টভাসি, ধীর, স্থির, শান্ত, নম্র এবং বিচক্ষণ ব্যাক্তি ছিলেন । অসালীন কথা বার্তা তো দুরের কথা তাঁকে কখনো কারো প্রতি রূঢ় ব্যবহার করতে দেখা যায়নি বা শোনা যায়নি ।
আমাদের দেবত্তরের প্রতি তাঁর দায়িত্ব এবং নিষ্ঠা ছিল সত্যিই প্রসংশনীয় । এক কথায় একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন তিনি বলা যেতে পারে । বহূ উন্নয়নমূলক কাজ আমাদের দুর্গামন্দিরের এবং বিষ্ণু মন্দিরের তাঁর হাত দিয়ে সুসম্পন্ন হয়েছে । আমাদের জ্যাঠামশাই স্বর্গীয় নীহার রন্জন চট্টোপাধ্যায় - ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন এক প্রখর ব্যক্তিত্ব্যের অধিকারী মানুষ , যিনিই আমাদের এই বর্তমান ট্রাস্টির প্রতিষ্ঠাতা বলা যায়, যাঁর হাত দিয়ে, যাঁর চিন্তা ভাবনায় বহূ উন্নতি সাধন হয়েছে আমাদের দেবত্তরের তথা মন্দিরগুলির তাঁরই অনুগামী ছিলেন আমাদের এই ভমলু’দা । যখন আমাদের এই দেবত্তরের আর্থিক অবস্থা খুবই সঙ্গিন ছিল তখনো এই দুজন মানুষ আমাদের সেবাইতগণ ও আমাদের পরিবারের আত্মীয় স্বজন ও মেয়ে-জামাইদের নিকট হতেও তাদের দান অনুদানের উপর ভিত্তি করে তাঁরা অনেক কাজ এবং উন্নয়ন করেছেন । এই ট্রাস্টি গঠন, তার নামকরন ও বিভিন্ন শর্তাবলীর আরোপ তাঁদেরই সৃস্টি যার প্রতিফলন আমরা প্রতিনিয়তই বর্তমানে উপলব্ধি করছি ।
আমি বা আমরা যতদুর জানি এই দেবত্তরের হিসাব নিকাশ ও তার রক্ষনাবেক্ষণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে ভমলুদা’র সততা, নিষ্ঠা এবং পরিচ্ছন্নতা ছিল সত্যিই অনস্বীকার্য । হাতের লেখাটিও ছিল তাঁর ঝকঝকে । সত্যিই অনেক কিছু শেখার ছিল তাঁর কাছ থেকে । ঠান্ডা মাথায় কি ভাবে নি:শব্দে কাজ করে যেতে হয় তা সত্যিই তিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেলেন ।
যদিও ইদানীং তিনি দেবত্তরের কাজ কর্মের থেকে কিছুটা দুরে সরে ছিলেন, একান্তই শারিরীক কারণে, তবুও নিয়মিত ভাবেই খোঁজখবর রাখতেন প্রতিটি বিষয়েই । মাঝে মাঝে ফোন করেও খবর নিতেন ।
পরিশেষে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর আত্মার এবং তাঁর পরিবারের সকলের শান্তি কামনা করে ইতি টানলাম । মানুষেরতো আর করার কিছু নেই এ এক অমোঘ সত্য । চলে যেতেই হবে একদিন এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে । সবই মেনে নিতে হয় - “তরঙ্গ মিলায়ে যায়, তরঙ্গ ওঠে, কুসুম ঝরিয়া পড়ে কুসুম ফুটে” ।
ভমলু’দার এই ছবিটি এ বছর দুর্গাপুজোয় অষ্টমীর সন্ধি পুজোর প্রসাদ নিয়ে আসার সময় তোলা । আমি বলেছিলাম “দাদা আপনার একটা ছবি তুলব” তিনি তখন সহাস্যে দাঁড়িয়েছিলেন ।স্মৃতি সততই সুখের ।
ওঁ শান্তি ।

 

No comments:

Post a Comment