Saturday, 29 March 2025

 

0UR DHARA ANUSTHAN

 

মা দূর্গা বিসর্জনের পরদিন সকাল থেকেই যেমন চারিদিক - সারা জগতই শুন্য মনে হয়, খাঁ খাঁ করে সারা পৃথিবী তেমনই আমাদের এই ধারার পরদিন সকলের হৃদয় যেন শুন্য মনে হচ্ছে । বিশেষত বিকেল বেলাটা । মনে হচ্ছে যেন কারও কোন কাজই নেই । দুর্গামন্দির থেকে বিষ্ণুমন্দির প্রাঙ্গনে একই চিত্র শুধু শুন্যতা । সকলের মুখেই এই একই কথা - কিছুই ভাল লাগছে না । ধারা অনুষ্ঠান যে সকলের মন এমনি ভাবে কেড়ে নেবে তা ভাবা

Kanchan Kumar Chatterjee <chatterjee.kanchan@gmail.com>

 

 

মা দূর্গা বিসর্জনের পরদিন সকাল থেকেই যেমন চারিদিক - সারা জগতই শুন্য মনে হয়, খাঁ খাঁ করে সারা পৃথিবী তেমনই আমাদের এই ধারার পরদিন সকলের হৃদয় যেন শুন্য মনে হচ্ছে । বিশেষত বিকেল বেলাটা । মনে হচ্ছে যেন কারও কোন কাজই নেই । দুর্গামন্দির থেকে বিষ্ণুমন্দির প্রাঙ্গনে একই চিত্র শুধু শুন্যতা । সকলের মুখেই এই একই কথা - কিছুই ভাল লাগছে না । ধারা অনুষ্ঠান যে সকলের মন এমনি ভাবে কেড়ে নেবে তা ভাবা যায় নি । সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা, একাত্মতা ও সদিচ্ছাই তার নিদর্শন । আসলে এত দীর্ঘ সময় ধরে কোন অনুষ্ঠানই চলে না আমাদের এই মন্দিরে । দুর্গাপুজো - তাও মাত্র চার দিনেই শেষ । কিন্তু এই ধারাই শুধু চলে টানা ৩২ দিন - চৈত্র সংক্রান্তি থেকে একেবারে বৈশাখ সংক্রান্তি পর্যন্ত । ফল, মিষ্টান্ন প্রসাদই সব নয়, সব থেকে আকর্ষণীয় হচ্ছে মানুষের উপস্থিতি, তাঁদের আগমন ও যোগদান । শিশুদের হৈ হুল্লোড়, তাদের নির্ভেজাল আনন্দ, বয়ষ্ক বয়ষ্কাদের আন্তরিক যোগদান এবং অংশগ্রহণ, সবার সাথে একটু সময় কাটানোই ছিল যেন এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ । সকলেরই কৌতুহল আজ বিশেষ কি আছে, আজ কিসের শরবত ইত্যাদী প্রশ্নই ছিল এই অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তার মাপকাঠি । বাবা লক্ষীজনার্দনের কাছে একান্ত ভাবে কামনা করি আমাদের এই অনুষ্ঠান সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় যেন আরও আকর্ষনীয় ও মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে আগামী দিনে । তাঁর কৃপায় ছাড়া তো কোন কিছুই সম্ভব নয় । আমরা জানি সবার ওপরে মানুষই সত্য এবং তাঁদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি এবং যোগদানই যে কোন অনুষ্ঠানকে জীবন্ত করে তুলতে পারে আর আমাদের ধারা ছিল তার একমাত্র প্রাণবন্ত তথা জীবন্ত উদাহরন । আগামী দিনে সমস্ত সেবাইতগণকে আন্তরিক ভাবে এগিয়ে আসার বিনম্র অনুরোধ জানিয়ে শেষ করলাম আমার এই প্রতিবেদন

 

No comments:

Post a Comment